The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

বর্ণিল আয়োজনে সম্পন্ন হলো পোর্ট সিটির ২য় সমাবর্তন

রিয়ান বিন কবির, পিসিআইইউঃ উচ্চ শিক্ষা সমাপ্তির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।কালো গাউন আর ক্যাপ পরিহিত সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।দীর্ঘ চার বছরের পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত এই ডিগ্রি গ্রহণের দিনটি তাই গৌরবের,সফলতার আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার।তাই তো এই দিনটিকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে সচেষ্ট সবাই।

উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণিল আয়োজনে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন।সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি একাডেমিক বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রামের ৫ হাজার ৬৪৯ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের পক্ষে সভাপতিত্ব ও গ্রেজুয়েটদের ডিগ্রী ঘোষণা করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আসমা ইয়াসমিন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসমাইল আপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন।

সমাবর্তনে অনলাইনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।সদ্য গ্রেজুয়েটদের উদ্দ্যোশে তিনি বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার যাত্রা সূচনা। জ্ঞানের জন্য, স্বীকৃতির জন্য, প্রজ্ঞার জন্য ক্ষুধার্ত হওয়া আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুধার্ত হতে থাকুন, তৃপ্ত হবেন না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপায় খোঁজা চালিয়ে যান এবং সেখানেই আপনি আরও কিছু অর্জন করতে পারবেন।ক্রমাগত নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন জীবনে চলতে কী নতুন দক্ষতা এবং দক্ষতার প্রয়োজন হবে। আপনার শিক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা শুধু আপনি যা শিখছেন তা নয়, কীভাবে শিখতে হয় তা জানার মধ্যেও রয়েছে”

২০১৩ সালের ১৭ মে ছয়টি প্রোগ্রামে ৬৯ জন শিক্ষার্থী, ৬ জন শিক্ষক, ৪ জন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ১৭০ জন শিক্ষক, ৫ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী এবং ১৯০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। চারটি অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রাম নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.