গ্রাহক পর্যায়ে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়তে যাচ্ছে বিদ্যুতের। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, এখনই গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়বে না। কিন্তু দেখা গেল এরই মধ্যে বিতরণ কোম্পানিগুলো মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ভাষ্য মতে, পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বেড়ে গেছে আগের তুলনায়।
সোমবার (২১ নভেম্বর) পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণার ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। জানা গেছে, এরই মধ্যে তিন বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বরাবর প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে বিইআরসির বিদ্যুৎ বিষয়ক সদস্য বজলুর রহমান বলেন, আমরা কয়েকটি কোম্পানির প্রস্তাবনা পেয়েছি। পাইকারিতে দাম বাড়ানোর ফলে তাদের ব্যয় বেড়ে গেছে, এই যুক্তিতে তারা মূল্যবৃদ্ধির আবেদন করেছে। আমরা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত জানাব।
নিয়ম অনুযায়ী, বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হলে সেটা যাচাইয়ে গণশুনানির আয়োজন করা হয়। শুনানি শেষে ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হয়।
সে হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে। পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হলে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। এবার বিদ্যুতের দাম যেহেতু প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে, সেক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।