সাইফুল মিয়া, চবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের আপত্তিতে তা ভেস্তে গেছে। শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) চারুকলার শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ইনস্টিটিউটটি ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একমত হলেও একমত হয়নি চারুকলার শিক্ষক প্রতিনিধি দল। সভায় শিক্ষক প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরী, শিক্ষক জসিমউদদীন, জাহেদ আলী চৌধুরী যুবরাজ, সুফিয়া বেগম ও উত্তম বড়ুয়া।
শিক্ষার্থীরা গত বুধবার থেকে আবাসিক হল নিশ্চিতকরণ, নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং-ক্যান্টিনের সুব্যবস্থা ও পাঠাগার সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের ডাক দেন। টানা সাত দিনের মতো ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, বেশিনের সুব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটারিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইনসট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরন, ওজুখানা ও নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অবস্থান। ২০১০ সালে চবির চারুকলা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়কে চারুকলা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।