The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম, খাবার জোগাতেই হিমশিম বাবা-মা

একসঙ্গে ফুটফুটে জমজ তিন ছেলেসন্তানের জন্ম দেন রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ ববিতা বেগম (২২)। এতে খুশিতে আত্মহারা পরিবারটি। তিনজনই বর্তমানে সুস্থ আছে।

তবে তিন নবজাতকের লালন পালন ও চিকিৎসা ব্যায় নিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। তিন সন্তান জন্ম দেয়া গৃহবধূ ববিতা বেগম গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শাহাদত মেম্বার পাড়ার দিনমজুর মো. কিরণ মুন্সির স্ত্রী। জমজ তিন শিশুর নাম রাখা হয়েছে যথাক্রমে তামিম, তাসিন ও তানজিল। নদীভাঙনে সব হারিয়ে ববিতা-কিরণ দম্পতি আশ্রয় নেন দৌলতদিয়া শাহাদাত মেম্বার পাড়া এলাকায়।

সেখানেই তিন শতাংশ জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলেন বসতি। দিনমজুরিসহ হরেক রকমের কাজ করে সংসার চালান তারা। চলতি বছরের ৪ নভেম্বর গৃববধূ ববিতা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জমজ তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এর কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে মাসহ জমজ তিন ছেলেকে বাড়িতে আনেন কিরণ। এছাড়াও তাদের ৫ বছর বয়সী আরও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

বর্তমানে কিরণ দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এ কাজ করে তিন জমজ শিশুর খরচসহ ছয়জনের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন জমজ শিশুদের পেছনে খরচ প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা।

কিন্তু দিনে আয় মাত্র ৫০০ টাকা। ফলে জমজ তিন সন্তানসহ চার সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন ববিতা কিরণ দম্পতি। প্রতিবেশীরা জানান, কিরণ দিনমজুরের কাজ করেন। তাতে সংসার চলে না।এখন জমজ তিন ছেলেসহ চার সন্তান নিয়ে পড়েছেন বিপাকে, যা আয় করে তা দিয়েও জমজ তিন শিশুর খাবারের টাকা হয় না। ওই তিন শিশুসহ পরিবারে ছয় সদস্য। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে বাচ্চাগুলো নিয়ে বাঁচতে পারবে তারা।

গৃহবধূ ববিতা জানান, জমজ তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তার স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন। কাজ করলে দিন শেষে ৫০০ টাকা পান। কাজ না করলে টাকা পান না। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা পেলে তার সন্তানদের লালন পালন করতে পারতেন। জমজ তিন শিশুর বাবা কিরণ জানান, জমজ তিন ছেলেসন্তান হওয়ায় তিনি খুশি। কিন্তু দিনমজুরের কাজ করে তাদের খাবারসহ অন্যান্য খরচ জোগাতে পারছেন না। কাজ করলে দিনে ৫০০ টাকা পান। কিন্তু শিশুদের দুধ কিনতে লাগে ৬৫০ টাকা।

এর সঙ্গে অন্যান্য খরচসহ সাংসারিক খরচ রয়েছে। বর্তমানে তার চার সন্তানসহ ছয়জনের পরিবার। দিনমজুরের কাজ করে বাচ্চাদের লালন পালনসহ সংসারের খরচ মেটাতে পারছেন না তিনি। ফলে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক খান বলেন, জমজ তিন শিশু আল্লাহর নিয়ামত। এই শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য বাবা-মায়ের দায়িত্ব অনেক। পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.