The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

জাবিতে নভেম্বরে চালু হচ্চে দুটি হল, থাকছে যেসব সুবিধা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন দুইটি হল চলতি মাসেই (নভেম্বর) উদ্বোধন করা হবে। এসব হলে  থাকবে আধুনিক সুযোগসুবিধা । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ছাত্র ও ছাত্রীদের তিনটি করে মোট ছয়টি হলের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মে মাসে। এসব হলের প্রতিটিতে ১ হাজার জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন। এখন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ধাপের আওতায় ১৪টি ভবন নির্মাণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬টি আবাসিক হল রয়েছে। তবে সেসব হলে সব শিক্ষার্থীর আসন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীগণ গণরুমে থাকতে বধ্য হন। তবে এই আসন সংকট নিরসন করার লক্ষ্যে চলতি মাসেই ছাত্রদের জন্য একটি ও ছাত্রীদের আরেকটি নতুন হল উদ্বোধন করা হবে বলে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম।

উপাচার্য আরো বলেন, হলগুলো থেকে গণরুম সংস্কৃতি দূর করার লক্ষ্যে আপাতত আগামী নভেম্বর মাসে দুটি হলের উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সবগুলো হলের কাজই প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। তবে পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় শুরুতে ছাত্রদের ১টি ও ছাত্রীদের ১টি মোট দুটি হল উদ্বোধন করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে বাকি চারটি হলও উদ্বোধন করা হবে। এরই মধ্যে হলগুলোর নামকরণ এবং উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।

এদিকে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উদ্বোধনের জন্য নির্মাণাধীন হলগুলোতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। এ মাসের মধ্যেই নতুন দুটি হল উদ্বোধন করার জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন হলগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংযুক্ত করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য মনোরম পরিবেশের পাশাপাশি অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাও থাকবে। যা বর্তমান অন্য ১৬টি হলে নেই।

নতুন প্রতিটি হলে রাখা হয়েছে ছয়টি করে লিফট। প্রতিবারে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী লিফটে চলাচল করতে পারবে। হলের প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে থাকবে বারান্দা ও করিডোর। হলের মধ্যে বিনোদনের জন্য থাকবে তিনটি করে কমন রুম, পড়ালেখার জন্য উন্নত লাইব্রেরি, হল ছাত্র সংসদ ও একটি ক্যান্টিন। এছাড়া হলগুলোর ডাইনিংয়ে প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী একত্রে খাবার খেতে পারবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে যেন নিজেরাও রান্না করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সেজন্য প্রতি তলায় থাকবে গ্যাসের চুলা। শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামের জন্য হলের মধ্যেই জিমনেশিয়ামের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া হল থেকেই ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগের সুবিধা থাকবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.