কক্সবাজার প্রতিনিধি:নিহত রোহিঙ্গা নেতা
মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আরও দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে তিন দিনে এই মামলায় পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে বুধবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুরে শেষ হয়। ইতোমধ্যেই সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহত মুহিব্বুল্লাহর ভাই আহমদ উল্লাহ ও কাশেম মিয়া।
এর আগে সোমবার এই মামলার বাদী ও ১ নম্বর সাক্ষী নিহত মুহিব্বুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবউল্লাহ এবং মঙ্গলবার নুরে আলম ও হামিদ মাঝি সাক্ষ্য দেন।
কক্সবাজার আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সাক্ষ্যদানকালে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এক আসামি সাক্ষী নুরে আলমকে হাতের ইশারায় হত্যার হুমকি দেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিচারক আসামি ও তার আইনজীবীকে সতর্ক করেন। এ ঘটনায় আদালতে আজ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
মুহিবুল্লা ছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান। ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সাতজনের নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে। আদালত শুনানি শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই দিন আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন।
বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।