নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃপূর্বঘোষণা দিয়ে সম্মিলিতভাবে পুরো ব্যাচের নম্বর টেম্পারিং করা, শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে কটুক্তি করাসহ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মিম্মা তাবাসসুম এর বিরুদ্ধে কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উঠার পরও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এবার মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার(১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অভিযুক্ত শিক্ষকের অব্যাহতি এবং ৫ দফা দাবিতে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর আন্দোলন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো – ১. অভিযুক্ত বিভাগীয় চেয়ারম্যান মিম্মা তাবাসসুমকে অবিলম্বে তার পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে। ২. অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার সহকর্মী এবং সহধর্মী ইফতেখার পারভেজকে আমাদের চলমান সেমিস্টারে এবং পরবর্তী সেমিস্টারে একাডেমিক কাজকর্ম থেকে বিরত রাখতে হবে। ৩. নোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা সেল গঠন করতে হবে। ৪. মার্ক টেম্পারিং রোধে উত্তরপত্র থেকে রোল নম্বর বাদ দিতে হবে।
৫. পাঠদানে আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি পুনরায় চালু।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, গত ১২ অক্টোবর অনুষদের ডিন বরাবর তার(মিম্মা তাবাসসুম) বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার পর থেকে মিম্মা তাবাসসুম ও তার স্বামী ইফতেখার পারভেজ এবং সহকর্মীরা তাদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে ফোন দিয়ে এই অভিযোগ উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন৷ এছাড়া জুনিয়র ব্যাচের ছাত্রদের দিয়ে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রক্টরিয়াল টিমের কথা হয়েছে। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুন্দর সমাধানের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার -উল-আলম বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমার সাথে দেখা করেছে। তাদের দাবি-দাওয়া আমার কাছে উপস্থাপন করেছে। সামনে একাডেমিক মিটিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।