পঞ্চগড় জেলায় বেলাল হোসেন (৪০) নামে এক আসামীকে ১১ শর্তে ১ বছরের প্রবেশন রায় দিয়েছে আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে ওই ১১টি শর্তের কোন একটি শর্ত লঙ্ঘন হলে বা নিজেকে সংশোধন করতে ব্যর্থ হলে এই মামলায় তাকে আবারো দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন।
রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমান এ রায় দেন।
আসামী বেলাল হোসেনের বাড়ি বোদা উপজেলার পাচঁপীর ইউনিয়নের গুয়াগ্রাম প্রধানপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে।
প্রবেশন রায় পেয়ে ১১টি শর্ত মেনে স্বাভাবিক জীবনে চলার আশ্বাস বেলাল হোসেনের। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে আমি খুব সন্তুষ্ট। আমি নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করবো। নিজের পরিবারের দেখাশোনা করবো। তাদের প্রতি যত্নশীল হবো। কেউ যেন আর মাদকের দিকে পা না বাড়ায়।
মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবি কামরুজ্জামান রাশেদ প্রতিবেদক শিশির আসাদকে বলেন, আসলেই এ রায় সমাজের জন্য একটি ভাল বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। আদালত আমার মক্কেলকে শুধরানোর জন্য একটি সুযোগ দিয়েছেন। ১ বছর একজন প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে তিনি থাকবেন। নিজের ভুল শুধরে নিজেকে বিপথে পা বাড়ানো থেকে সাবধান থাকবেন। এভাবে সমাজে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আমি মনে করি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল বেলাল হোসেন ২০ পিচ ইয়াবা সহ দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। পরে ওই বছরের ৩১শে মে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত মামলার নথিপত্র বিচারক বিশ্লেষণ করে বোদা উপজেলা প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে আসামী বেলাল হোসেনকে ১ বছরের প্রবেশনকালে প্রতি মাসে দুইবার প্লাকার্ড হাতে নিয়ে স্থানীয় এলাকায় ও বাজারে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো, পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্নশীল ও পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখা, নিজ ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করা, প্রবেশনকালে বাড়ির আশপাশে অন্তত ২০টি গাছ লাগানো সহ ১১টি শর্তে জামিন প্রদান করেন। প্রতি তিন মাস পর পর উপজেলা প্রবেশন কর্মকর্তা এ বিষয়ে আদালতকে অবগত করবেন।