রাজধানীর ধানমন্ডিতে ২০০২ সালে ভাড়া বাসায় গড়ে ওঠা ইবাইস ইউনিভার্সিটির বর্তমানে শিক্ষার্থীসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। শিক্ষার্থী সংখ্যার হিসাবে বর্তমানে দেশের বেসরকারী বড় ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে অন্যতম ইবাইস ইউনিভার্সিটি । ধানমন্ডি থেকে পরবর্তীতে উত্তরা মডেল টাউনে আবার ভাড়া বাসায় স্থানান্তরিত করা হয় ইবাইস ইউনিভার্সিটি।
ইবাইস ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীরা যে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াবে সেই সুযোগ নেই কারণ এত শিক্ষার্থীদের জন্য এত ছোট ক্যাম্পাস যথেষ্ট নয়। তবুও অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি একটি বিস্তৃত লাইব্রেরি ও ক্যান্টিন। কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় সেগুলো বাস্তবায়ন করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস করা।
কিছুদিন আগে ২০ বছর পুর্তি অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাকারিয়া লিংকন বলেছিলেন, ‘ ইবাইস ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে আমরা আন্তরিক৷ ইবাইস ইউনিভার্সিটি অত্যন্ত গৌরব ও ঐতিহ্যের সঙ্গে দাঁড়িয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস করার বিষয়ে শিক্ষার্থীসহ সবার দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। তবে এটা আমার একার কাজ নয়, সবার সহযোগিতা লাগবে। আমরা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করব।’
ইবাইস ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের আরাফাত প্রতিবেদককে জানান, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাস হলে ক্লাস সংকট কিছুটা নিরসন হবে।
আইন বিভাগের রেদওয়ান বলেন, ‘ক্যাম্পাস এতটা ছোট যে কখনো কখনো দেরি করে ক্যাম্পাসে আসলে বন্ধুদের সাথে বসে কোথাও যে আড্ডা দিব সে জায়গায় খুঁজে পাই না। যতটা সময় আমারা ক্লাসের বাইরে থাকি ততক্ষণ তো আর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না।’
মাষ্টার্সে অধ্যয়ণরত মুহিব্বুল্লাহ বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস আমার কাছে অনেক ছোট। তবে সময়ের সাথে সাথে জায়গা সংকটের বিষয়টিও অনুভব করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যাপারে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে, তিনি বলেন, আমাদের জায়গা কেনা আছে৷ অনতিবিলম্বে কাজ শুরু হবে।