নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম ছোটনের চিকিৎসার জন্য ১৫,২৪,০০০ টাকা উপহারস্বরূপ তার বড়ভাই ডা. মামুন আহমেদ ভূইয়ার নিকট হস্তান্তর করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।
বুধবার(২৬ অক্টোবর) নোবিপ্রবি উপাচার্যের দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অর্থ তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. আব্দুল বাকী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ ফান্ড গঠন নিয়ে কাজ করা শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
ফান্ড গঠন নিয়ে কাজ করা শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত ২০ লক্ষাধিক টাকার মধ্যে ১৫,২৪,০০০ টাকা উপহারস্বরূপ মাহিদের বড়ভাই ডা. মামুন আহমেদ হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ৪০ লাখ টাকা ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ায় নোবিপ্রবি পরিবারের প্রদত্ত টাকার উদ্ধৃত প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা পরর্বতীতে কোনো শিক্ষার্থী এমন বিপদে পড়লে তাকে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিলে মাহিদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের নিকট প্রদান করেন ডা. মামুন।
আরো পড়ুনঃ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম তাজিনঃ তার মুখোমুখি বসে আমরা আজ…
এ বিষয়ে ফান্ড গঠন নিয়ে কাজ করা নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহমাদ উল্লাহ শিমুল বলেন, আমরা নবম ব্যাচ প্রথম থেকেই মাহিদের ভাইয়ের সাথে কথা বলে সর্বাত্মক চেষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে ক্যাম্পেইন পরিচালনা ও সে অনুযায়ী স্বচ্ছ আপডেট দিয়ে সবার সহযোগিতায় আমাদের কাঙ্ক্ষিত সময়ের পূর্বেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি এজন্য সকলের প্রতি আন্তরিকতা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। মাহিদকে সুস্থ করার প্রয়াসে যাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও তত্বাবধানে আমরা এগোতে পেরেছি তাদের কয়েকজনের কথা না বললেই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের আসাদুজ্জামান আসাদ ভাই, চতুর্থ ব্যাচের রাশেদ ভাই, পিনাক ভাই, পঞ্চম ব্যাচের মাশফি ভাই ও অতুন দাদা, ষষ্ঠ ব্যাচের এ কিউ এম সালাউদ্দিন পাঠান ভাই, ইশতিয়াক আশরাফ ভাই ও অষ্টম ব্যাচের মাহমুদুল হাসান শিবলু ভাইসহ অসংখ্য অপ্রকাশিত এলামনাইবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় ও উপ-উপাচার্য মহোদয়, প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর স্যার, রিমন স্যার, ফিরোজ স্যার ও ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সর্বোপরি মঙ্গল কামনা করি।
তিনি আরো বলেন, এ যাত্রায় মাহিদের কল্যাকামী হিসেবে সর্বদা শারিরীক, মানসিক ও বুদ্ধিভিত্তিক শ্রম দিয়েছে নবম ব্যাচের সকলেই। তারপরও যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রয়োজনীয় অনুদান তোলা সহজ হয়েছে তাদের কয়েকজন বিশেষ করে আসাদুজ্জামান নূর, উম্মে হাবিবা সুইটি, ইকবাল, আসাফ সুজন, প্রিয়া বণিক,শোয়াইব,রাফিউজ্জামান রাফি,মাহমুদুল ইসলাম শাকিল, জামশেদ, মাইনুল, আশরাফ, জাভেদ হোসেন সবুজ, রিমন সাইদ রাইয়ান, সাজ্জাদ প্রমেল, সুতীর্থ সরকার অভি, শুভ আহমেদসহ প্রেগ্ন্যাসির তৃতীয় ট্রাইমস্টার চলাকালীন সময়েও বিবিএ এর মাহফুজা আক্তার বিনাদের এই ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার ধন্যবাদ জানানোর উপমা আমার কাছে নেই। এই মানুষগুলোর ভালোবাসা সৃষ্টিকর্তা কবুল করুক। আর জুনিয়র তানিম আব্দুল্লাহ, রাহী রহমান, শাহরিয়ার নাসের, মাইনুদ্দিন পাঠানসহ নাম অপ্রকাশিত যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও স্নেহাশিস রইলো।