সত্যজিৎ রায় পরিচালিত “পথের পাঁচালী” ভারতের সর্বকালের সেরা ছবির স্বীকৃতি পেয়েছে। সম্প্রতি জরিপের ভিত্তিতে এই স্বীকৃতি প্রদান করে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস বা (ফিপরেস্কি)। ভারত শতাধিক ভাষার দেশ আছে নামজাদা অনেক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, সবকিছুকে টপকে সেরার খেতাব অর্জন করেছে সত্যজিৎ রায়ের এই অমর সৃষ্টি।
গত ২০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ফিপরেস্কি- ইন্ডিয়া বিভাগ একটি বিশেষ তালিকা প্রকাশ করে। যে তালিকাটি সংগঠনটির ৩০ জন সদস্যের গোপন ভোটে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে প্রাথমিক ভাবে স্থান করে নেয় বিভিন্ন ভাষার মোট দশটি ছবি। যেখানে ছিলো হিন্দি ধারার পাঁচটি, বাংলা ধারার তিনটি, একটি মালায়লাম ও একটি কন্নড় ভাষার ছবি। জনপ্রিয় ইন্ডাস্ট্রি হিসাবে পরিচিত তামিল ও তেলেগুর কোন ছবি এই তালিকায় স্থান পায়নি।
প্রকাশিত এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঋত্বিক ঘটক নির্মিত ছবি “মেঘে ঢাকা তারা” যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। এরপর যথাক্রমে রয়েছে: মৃণাল সেন নির্মিত “ভুবন শোম” (১৯৬৯), আদুর গোপালকৃষ্ণানের “এলিপ্পাথায়াম” (১৯৮১), গিরিশ কাসারাভাল্লি পরিচালিত “ঘটশ্রদ্ধা” (১৯৭৭), এমএস সাথ্যু নির্মিত “গরম হাওয়া” (১৯৭৩), সত্যজিৎ রায়ের “চারুলতা” (১৯৬৪), শ্যাম বেনেগালের “অঙ্গুর” (১৯৭৪), গুরু দত্তের “পিয়াসা” (১৯৭৫) ও রমেশ সিপ্পি নির্মিত “শোলে” (১৯৭৫)।
পথের পাঁচালী’র মাধ্যমে সত্যজিৎ রায়ের অভিষেক হলেও, সেটা শুধু অভিষেক ছিলো না এর মাধ্যমে বাংলা তথা উপমহাদেশের চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারার সৃষ্টি হয়। যা ক্রমশ পরিনত হয়ে এখন অনেক প্রতিষ্ঠিত আর আমরা তার ফলভোগী। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পথের পাঁচালী” উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি উপহার দেন সত্যজিৎ রায়। পরবর্তীতে “অপরাজিতা” ও “অপুর সংসার” নামে এর দুটি সিক্যুয়েল নির্মিত হয়। এই তিনটি সিনেমা একত্রে অ’পু ট্রিলজি বলে অভিহিত হয়ে থাকে।
পসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস বা (ফিপরেস্কি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব যেমন: কান চলচ্চিত্র উৎসব, টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে তারা পুরস্কার দিয়ে থাকে।