প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জুনিয়র পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জুনিয়র পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। লালবাগ বিভাগের গোয়েন্দা টিম তাদের গ্রেপ্তার করে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ‘প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ প্রাথমিকভাবে পাঁচ জনের পরিচয় জানা যায়নি। আগামীকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে ১০ পদে জনবল নিয়োগের জন্য আজ বিকালে ৩টায় পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় শুরুর এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিমান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তরায় পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র মেকানিক জিএসই (ক্যাজুয়াল) এবং জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) পদের নিয়োগের জন্য ২১ অক্টোবর পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এদিন লিখিত পরীক্ষা বিকাল ৩টায় উত্তরার দুইটি স্কুলে হওয়া জন্য স্থান নির্ধারিত ছিল। নিয়োগ প্রার্থীরা বেলা ১টা দিক থেকেই কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তবে দুপুর ২টার দিকে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা করে বিমান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্ট্রের আইইএস উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৪ নম্বর সেক্টরের নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন নিয়োগ প্রার্থীরা।