The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে ছাড় নয়: ইউজিসি

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত না করলে ২৩টি বেসরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনটিকেই ছাড় দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।

বুধবার (৫ অক্টোবর) ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এ তথ্য জানান।

ড. বিশ্বজিৎ বলেন, ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্পূর্ন শিক্ষা কার্যক্রম স্থানন্তর না করে তাহলে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাবে না সেগুলোতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া কোর্সগুলো অবৈধ ঘোষণা করা হবে এবং ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়কে রেডমার্ক করা হবে।

ড. বিশ্বজিৎ আরও বলেন, তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শেষের দিকে তাদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে দুই এক মাস সময় দেয়া হবে।

ইউজিসি বলছে, ১২ বছর পূর্ণ হলেও এখনও দেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরিভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়নি। কেউ আংশিকভাবে কেউবা নির্মাণাধীন কাজ দেখিয়ে বছরের পর বছর আউটার ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত সময়ে নানাভাবে আলটিমেটাম দিলেও এখনো তারা প্রধান ক্যাম্পাসে যায়নি।

সে কারণে ইউজিসি থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করা হয়েছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই শোকজের জবাবে নতুন করে আরও সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৮টি। কিন্তু বর্তমানে ৯৯টির কার্যক্রম চলছে, এর মধ্যে ২০১০ সালের আগের আইনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫২টি। এগুলোর মধ্যে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ আদালতে এক মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে সরকার বন্ধ করে দেয়। অবশিষ্ট ৫১টির মধ্যে ২৮টি স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকি ২৩টি স্থায়ী ক্যাম্পাস বানায়নি। আবার কয়েকটি কোনো ধরনেরই পদক্ষেপ নেয়নি। এমন বাস্তবতায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করতে ২০১০ সালের পর থেকে সরকার আলটিমেটাম দিয়ে আসছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.