The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

দুই অধ্যক্ষের দ্বন্দ্ব, পরীক্ষা দিতে পারেনি ৭ শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী সাত পরীক্ষার্থী

লক্ষ্মীপুরে ২০ মিনিট দেরি হওয়ায় সাত শিক্ষার্থীকে জীববিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্র সচিব তাদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিলে কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা।

তারা হলো জিয়া উদ্দিন, আকিব হোসেন, তাজরিন জাহান, আরমান হোসেন, রুমানা আক্তার, শরীফুল ইসলাম ও নুশরাত জাহান ইতি। সকলে চর আবদুল্যাহ ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী।
ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবদুল হাকিমের সঙ্গে আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়ব আলীর ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই দ্বন্দ্বের কারণেই কেন্দ্র সচিব তৈয়ব আলী তাদেরকে পরীক্ষায় বসতে দেননি বলে তারা অভিযোগ করেছে।

পরে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শান্তনু চৌধুরী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (একাডেমিক সুপারভাইজার) কার্যালয়ে গেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার চর আবদুল্যাহ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার ৯ জন শিক্ষার্থীর জীববিজ্ঞান বিষয়ে (ঐচ্ছিক) পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা আছে কি না, তা নিয়ে তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে। পরে পরীক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে এর মধ্যে দুজন ১১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। তারা পরীক্ষা দিতে পারলেও আরো পাঁচ মিনিট পরে আসা বাকি সাতজনকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানায়, কেন্দ্রে আসতে তাদের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ায় কেন্দ্রে পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২০ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এতে তারা কেন্দ্রে ঢুকলেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। অনুনয়-বিনয় করেও পরীক্ষা দিতে পারেনি। কেন্দ্র সচিব তৈয়ব আলী তাদেরকে বের করে দেন। তাদের অধ্যক্ষ আবদুল হাকিমের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেই তৈয়ব আলী ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে জানায় তারা।

আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তৈয়ব আলী বলেন, ‘তাদের অনুপস্থিতি দেখে যোগাযোগ করেছি। পরে ওই মাদরাসার ৯ পরীক্ষার্থীর দুজন ১৫ মিনিট পরে আসে। তাদেরকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি সাত শিক্ষার্থী প্রায় আধাঘণ্টা পরে হলে আসে। এতে তাদেরকে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যায়নি ‘

চর আবদুল্যাহ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তনু চৌধুরী বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। পাবলিক পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী তারা নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেনি। ঘটনাটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। চেষ্টা করব যেন তাদের প্রতি কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দেয়। তাদেরকে অন্যান্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বলেছি।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.