চিকিৎসকের মায়ের কাছে ঘুষ দাবির ঘটনায় দালাল চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ১৫ কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আদেশে বর্ণিত কর্মচারীদের তাহাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে পদায়ন করিয়া বহাল করা হইল।
জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হইলো উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, আদেশ জারির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করিতে হইবে। অন্যথায় ৮ (আট) দিনের দিন হইতে সরাসরি অব্যাহতি পাইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। ইহাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রহিয়াছে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছেলের কর্মস্থল রমেক হাসপাতালে যান অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এ.বি.এম রাশেদুল আমীরের মা। চিকিৎসা নিতে গিয়ে সেখানে তিনি হয়রানির শিকার হন। কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মা পরিচয় দেওয়ার পরও তাঁর কাছ থেকে দুই দফায় টাকা নেওয়া হয়।
নিজ কর্মস্থলে গুরুতর অসুস্থ মায়ের দুর্ভোগের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে মেডিভয়েসকে ডা. রাশেদুল আমীর বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি হাসপাতালের পরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছে। এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’
হাসপাতালে এ রকম ঘটনা অহরহ ঘটছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সাধারণ রোগীদের জন্য ভর্তি ফি ২৫ টাকা এবং হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। কিন্তু রাতের বেলায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে জরুরি বিভাগের একটি চক্র মানুষের কাছ থেকে দেড়-দুই-আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেয়।
এ অনিয়ম নিয়ে গত সপ্তাহ দুয়েক আগে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।