The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

ব্র্যান্ড পেশাজীবিদের মত বিবিএ’র পর কিছুদিন কাজ করে এমবিএ করা উচিত

দেশের ৮২ শতাংশ প্র্যাক্টিশনার্স মনে করেন বিবিএ করার পর কিছুদিন চাকরি করে তারপর এমবিএ করা উচিত। আর ১৮ শতাংশ প্র্যাক্টিশনার্স মনে করে বিবিএ করার পরই এমবিএ করা উচিত।

সম্প্রতি ‘ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের জরিপ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। সানজিদা রাফিয়া নামক এক নারী জরিপটি পরিচালনা করেন।

দুই সপ্তাহ ধরে সানজিদা রাফিয়া জরিপের তথ্য সংগ্রহ করেন। জরিপে মোট দুই হাজার ৩৩ জন অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ৩৬২ জন মনে করেন বিবিএ করার সাথে সাথেই এমবিএ করে ফেলা উচিত। বাকি এক হাজার ৬৬২ জন প্রাকটিশনার্স প্রেফার করেছেন বিবিএর পর তিন/চার বছর চাকরি করে তারপর এমবিএ করাকে; অর্থাৎ, শতকরা ৮২ জন পেশাজীবীই কর্মজীবনে প্রবেশের পরবর্তী সময়ে এমবিএ করাকে ভোট করেছেন।

ফেসবুকের এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের যারা নির্ধারিত কর্মবিরতির পর এমবিএ করাকে সমর্থন করেছেন তাদের মতে, কেউ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বা বিবিএ ডিগ্রী থেকে সরাসরি এমবিএতে যোগ দিলে শ্রেণিকক্ষে যখন কোনো থিয়োরি বা স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করা হয় তখন তারা পুরোপুরি রিলেট করতে পারে না কারণ একটি ব্যবসায়িক সংস্থা কীভাবে কাজ করে এই ব্যপারে তাদের স্বচ্ছ-বাস্তব কোনো ধারনা থাকে না।

অপরদিকে, আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের পর কয়েক বছর কাজ করলে ভালো ধারণা সৃষ্টি হয় যে একটি ব্যবসা কীভাবে কাজ করে এবং ব্যবসায়িক সংস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভ্যন্তরীণ কাজগুলো কী কী। ফলে শ্রেণিকক্ষের থিয়োরি বুঝতে পারা, আলোচনায় অংশ নেওয়া এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট এবং প্রকল্প ইত্যাদি অনুধাবন করা সহজ হয়।

তবে, যারা আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের পরপরই এমবিএ করাকে সাপোর্ট করেছেন। তারা মূলত স্টাডি গ্যাপের পর নতুন করে চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করা ও মনোযোগ ধরে রাখা কষ্টকর এ ব্যাপারেই মত দিয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গ্যাপ দিয়ে মেয়েদের এমবিএ করার বিরোধীতা করেছেন। তাদের মতে মেয়েদের উপর যেহেতু বিয়ে ও বাচ্চার ব্যপারে সামাজিক চাপ রয়েছে, তাই পরবর্তীতে সংসার-বাচ্চা-চাকরী সামলে পড়ালেখা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বিবিএ এর পরপরই তাদের এমবিএ করে নেয়া উচিত।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.