আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ১০ আঙ্গুলের ছাপ লাগবে। যাদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ দেয়া নেই আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা অঞ্চলের সব পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেন, নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সনদগুলো দেখা হচ্ছে। সংশোধনে ওয়ারিশান সনদ দেখা হবে।
যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান সচিব।
মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার আরও বলেন, সচিবালয়ের কাজের গতি না বাড়াতে পারলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্বৈত ও ভুয়া ভোটার ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২০২৩ সালের নভেম্বরে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী নভেম্বর থেকে জানুয়ারির ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সেই হিসেবে ২০২৩ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা ২০২৪ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ নির্বাচন করার পকিল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে ইসি। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নের অংশ হিসেবে সংস্থাটি একজন ভোটারের দুই হাতের সব আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।