ইডেন মহিলা কলেজের ৬টি আবাসিক হলের প্রত্যেকটিতেই রয়েছে একটি করে ক্যান্টিন। তবে এসব ক্যান্টিনগুলোর খাবারের দাম ও মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ছাত্রীদের। তারা বলেন, খাবারের মানের তুলনায় দাম বেশি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে এসব বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ থাকলে অভিযোগ বাক্সে লিখিতভাবে দিতে।
ইডেন কলেজের আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিন ঘুরে দেখা গেছে, সিংগারা, চমুচা, পরোটা, ভাজিসহ অন্যান্য ভারি খাবার পাওয়া যাচ্ছে। এসব খাবারের মধ্যে অধিকাংশই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পরিবেশন করা হয়। খাবারের দামও আগের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ছয়টি হলে ছয়টি ক্যান্টিন। একেক ক্যান্টিনের খাবারের মান একেক রকম। তবে দাম প্রায় একই। খাবারের তুলনায় দাম বেশি এবং খাবারের মান খুব একটা উন্নত না। সরকারি ক্যাম্পাসের খাবারের দাম বাইরের খাবারের দামের সাথে তেমন একটা পার্থক্য নেই।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়া বলেন, আমরা যখন সকালের নাস্তা করতে ক্যান্টিনে আসি, পরোটা এবং সবজি নেওয়া হলে প্রায় সময়ই সবজিতে পোকা-মাকড় পাওয়া যায়। দুপুরে খাবার খেতে আসলে ভর্তা অনেক সময় নষ্ট পাওয়া যায়। খাবারে অতিরিক্ত তেল, মশলা ব্যবহার করা হয়। আর এই তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
রিয়ার অভিযোগ ক্যান্টিনের জগ-গ্লাসগুলোও পরিষ্কার থাকে না। বিশেষ করে রাজিয়া হলের খাবার পানিতে সমস্যা রয়েছে। এই হলের খাবারের মান সবচেয়ে বেশি খারাপ।
প্রথম বর্ষে থাকাকালীন খাবারের দাম কম ছিলো জানিয়ে রিয়া বলেন, মান যাইহোক দামটা তুলনামূলক কম ছিলো। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সুযোগ নিয়ে এরা ইচ্ছে মতো ক্যান্টিনেও দাম বাড়িয়েছে। এখন মানও আগের তুলনায় খারাপ করেছে। আমাদের দাবি, ক্যান্টিনের খাবারের মান এবং দাম দুটোই আমাদের সাধ্যের মধ্যে কমিয়ে আনা হোক। একইসঙ্গে খাবারের গুণগত মানও বৃদ্ধি করা হোক।
তবে ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে ক্যান্টিনগুলোর কর্তাব্যক্তিদের কেউই সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, হলের ক্যান্টিনের কমিটি আছে। ওনারা নিয়মিত হলগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। ছাত্রীদের যদি খাবারের মান ও দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে প্রত্যেকটি হলেই অভিযোগ বাক্স রয়েছে সেখানে লিখিত আকারে জমা দিতে পারে।আমাদের হলের উপদেষ্টা কমিটি ওই হলে গিয়ে খোঁজখবর নেবেন এবং সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন।