চলতি বছরের এসএসসির ফাঁস হওয়া প্রশ্নে কোন পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রশ্নফাঁস করে এটা মনে করার কোন কারণ নাই যে পার পেয়ে যাবো। আমাদের শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। প্রশ্নফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমাদের একটা আঞ্চলিক কথা আছে-বেড়ায় ক্ষেত খেয়ে ফেলেছে। এখানেও এমনটি হয়েছে। যার অধীনে আছে, যাকে পাহারায় রেখেছি সেই যদি এই কাজটা করে সেটি কষ্টের ও হতাশার। যাকে দায়িত্ব দেয়া হলো, সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন, তাহলে তো আমরা একটু ফলসে পড়ি।
এর আগে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত বুধবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান ও রসায়ন প্রশ্নপত্র বাতিল করে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। একই ঘটনায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। এসব পরীক্ষার আবার নতুন তারিখও ঠিক করা হয়েছে।
মাউশি মহাপরিচালক বলেন, আমরা কিন্তু প্রশ্নফাঁসের কথা শোনার সাথে সাথে অ্যাকশনে যাচ্ছি। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষাগুলো আমরা বাতিল করে দিচ্ছি। যশোর বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্ন ভুল করে চারটি কেন্দ্রে চলে গেছে। সে পরীক্ষাটি কিন্তু বাতিল করে নতুন করে নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দিনাজপুর বোর্ডের ঘটনায়ও পরীক্ষাগুলো বাতিল করে নতুন করে নেয়া হচ্ছে। যখনই খবর আসবে আমরা কিন্তু পুরো পরীক্ষা বাতিল করে দেবো, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডগুলোর কিন্তু সে সক্ষমতা আছে। যারা এ কাজগুলো করে তাদের কিন্তু পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা পরীক্ষাই বাতিল করে দিচ্ছি।