স্বাভাবিক জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ইমেজ ক্ষুন্ন হয় এমন ভুয়া সংবাদ ও ভিডিও সরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
নোটিসে বলা হয়, “সম্প্রতি দেখা গেছে ফেইসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম এবং জজ কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান রোববার ওই নোটিস পাঠিয়ে এ বিষয়ে ‘যথাযথ পদক্ষেপ’ নিতে বলেছেন ওই দুই কোম্পানিকে।
নোটিসে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসের পরবর্তী সময়ে ও রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। পশ্চিমা দেশসহ বেশ কিছু দেশ মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব সমস্যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির মতো সমস্যায় জর্জরিত।
এ অবস্থায় নীতিমালার অভাবে কোনো ফ্যাক্টচেক ছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে ভুয়া নিউজ ছড়াচ্ছে। এটি বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৬৪, ৯৭ এ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮ এবং ২৫, আইসিটি আইনের ৪৬ ধারার এবং সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
নোটিশে ফেসবুকে প্রচারিত কয়েকটি ভুয়া তথ্যের লিংকও উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব লিংক ব্লক এবং সরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, ইউটিউব ও ফেসবুকের কার্যক্রম মনিটর, আইন অনুসারে প্রতিনিয়ত প্রতিবেদন দাখিল এবং অনলাইনের সব নিউজ পোস্ট, ভিডিও লিংককের ভেরিফাইয়ের বিষয়ে আইন অনুসারে জবাবদিহিতার মেকানিজম তৈরি করতে বলা হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।