The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি: যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে নানামুখী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা।

অধিকাংশ শিক্ষক সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার পক্ষে হলেও অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের অনেকেই এর বিপক্ষে। তারা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করে খুব বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে না। কারণ, দিনের বেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেকভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সুযোগ আছে। এছাড়া, করোনাকালে যে শিখন ঘাটতি হয়েছে, দুই দিন ছুটির কারণে তা আরও বাড়বে।

রাজধানীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদা সুলতানা বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী বছর থেকে দুই দিন বন্ধ থাকবে বলে আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বছরের আছে মাত্র ৪ মাস। এর মধ্যে হয়েছে বিদ্যুৎ ঘাটতি। সবমিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই দিন বন্ধ রাখাটা আগামী বছরের ট্রায়াল হিসেবেও দেখা যেতে পারে।’

শিক্ষক সামছ আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করাটা জরুরি। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতে পারি।’

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইমুনার বাবা মামুন আব্দুর রব। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শুনেছি। বলতে গেলে, দিনের বেলায় অনেকভাবেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব। লাইট লাগে না। হাতেগোনা দু-একটা প্রতিষ্ঠানে হয়ত এসি ব্যবহার হয়। চাইলে সেটির ব্যবহার সীমিত করা সম্ভব। এ অবস্থায় দুই দিন বন্ধ রেখে কতটা বিদ্যুত সাশ্রয় হবে, সেটি দেখার বিষয়।’

আরেক অভিভাবক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে শিখন ঘাটতি পূরণে বাড়তি ক্লাস নেওয়ার। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিখন ঘাটতি কতটা পূরণ করা সম্ভব হবে, সেটিও ভাবতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলে, ‘বর্তমানে শিখন ঘাটতির বিষয়টি সুস্পষ্ট। এ অবস্থায় ঘাটতি পূরণে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়নে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’

শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. একরামুল কবির বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, এ সিদ্ধান্তে উপকারের চেয়ে ক্ষতিটা বেশি হবে। কারণ, শহরের মতো গ্রামের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ খরচ হয় না। ঢাকা শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ব্যয় আছে। কিন্তু জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তেমন ব্যয় নেই।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.