বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অ্যাগ্রিকালচার (বিএসসি.এজি) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে চিঠি দিয়েছে কৃষি গ্রাজুয়েটদের সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন।
কোর্স বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের চিঠির প্রেক্ষিতে বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কৃষি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
কৃষি গ্রাজুয়েটদের মতে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষ শ্রেণিকে পাঠদান করানো হয়। তাদের ক্লাস হয় অনলাইনে। এই ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি গ্রাজুয়েটের ডিগ্রি দেওয়া হলে এর মান হবে অনেক নিম্নমানের। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্স চালু করা হলে কৃষিবিদদের মান-মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হবে। দেশের কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সদস্যরা বলছেন, দেশে গ্রাজুয়েশনের আরও অনেক কোর্স রয়েছে। সেগুলোতে কোর্স চালু না করে কৃষি কোর্সই কেন চালু করছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এমবিবিএস এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো কোর্স তো চালু করতে পারবে না। তাহলে কৃষিই কেন?
এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশনের সভাপতি এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল রশীদ ভূঁইয়া জানান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি সস্তা মাসের ডিগ্রি দেওয়ার পায়তারা করছে। এই ডিগ্রির ফলে কৃষির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এই কোর্স উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতেই পারে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্টের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফরিদ হোসেন বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কৃষি কোর্স চালুর বিষয়টি বলা আছে। আমরা সেই আলোকেই শিক্ষার্থী ভর্তির সার্কুলার দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই কোর্সের ক্লাস অনলাইনে না অফলাইনে হবে। সপ্তাহে চারদিন গাজীপুরে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস করানো হবে। এছাড়া আমরা ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক ল্যাবরেটরিও করেছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি গ্রাজুয়েট তৈরি করতে পারলে আমরা কেন পারবো না?