করোনা মহামারিতে চীন থেকে দেশে এসে অন্তত পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে চীনে ফেরত যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এসব শিক্ষার্থীর ভিসা দেওয়া শুরু হবে। ঢাকায় আজ রোববার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
আজ সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর আলোচনার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এসব তথ্য জানান।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, চীনে যাত্রা বন্ধ থাকায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী দেশে অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মধ্যে ছিলাম। দু-এক দিনের মধ্যে চীনে ফেরত যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া শুরু হবে।’
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় জানিয়েছিলেন, চীনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগামী সেপ্টেম্বরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে বেইজিং। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র, যাদের জন্য করোনার পর চীন উন্মুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে ঢাকায় চীন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের চীনে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি জানায়। দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লি জিমিং একটি বার্তা দেন। ‘রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক মিনিট’ শীর্ষক ওই বার্তায় জানানো হয়, দীর্ঘদিন করোনা মহামারিতে বন্ধ থাকার পরে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষাজীবনে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে চীন। এ প্রক্রিয়ায় প্রথম ধাপেই চীনে ফেরার অনুমতি পাচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।