দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে সারাদেশে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়।
এর আগে শনিবার সকাল থেকেই ভর্তি পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। ভর্তিচ্ছুরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের সবার মুখেই চিন্তার ছাপ দেখা গেছে।
হাবিবুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, ঢাকা শহরে যে পরিমাণ যানজট তাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের না হলে মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগেভাগেই ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে চলে এসেছি। তবে অত্যাধিক ভ্যাপসা গরমের কারণে পরীক্ষার্থী সহ সবারই খারাপ অবস্থা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা আদিবুল ইসলাম আদর বলেন, ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রে আগে আগে চলে এসেছি। তাছাড়া আমি আগে কেন্দ্রে আসিনি। তাই সীট খোঁজে পাওয়ার জন্য আগে চলে এসেছি।
নাজনীন নামের এক অভিভাবক বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘন্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এসেছি। যাতে যানজটে পড়তে না হয়। মেয়ের জন্য বেশ চিন্তা লাগছে। তার কোথায় চান্স হয় না হয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছুদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পালন করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইনে দেয়া প্রবেশপত্র রঙিন প্রিন্ট করতে হবে। প্রবেশপত্রে প্রার্থীর রঙিন ছবি এবং তথ্য স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে। পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই প্রবেশপত্রে উল্লিখিত নির্দিষ্ট কক্ষের নির্ধারিত আসনে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রবেশপত্র, উপস্থিতি তালিকা, উত্তরপত্রে অভিন্ন স্বাক্ষর থাকতে হবে। উত্তরপত্রে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে। পেনসিলের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এতে আরও বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে প্রবেশপত্র এবং উচ্চমাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক উত্তরপত্র ও প্রবেশপত্রে স্বাক্ষর করবেন। প্রবেশপত্রটি পরবর্তী সময় ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। ক্যালকুলেটরসহ অন্য যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রতিটি কেন্দ্রে মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ।
রাজধানীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে আসতে পারে সেজন্য যানজট নিরসনে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ওএমআর ও অন্যান্য কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।