সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশ করা হতে পারে। এরপরদ্রুত প্রার্থীদের চাকরিতে যোগদানের ব্যবস্থা করা হবে। মোট ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পাবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল একবারে প্রকাশিত হবে। এখনো কয়েকটি জেলায় মৌখিক পরীক্ষা চলছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে। ওই মাসের শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত ফলাফলে উপজেলা/ শিক্ষা থানার জন্য প্রার্থীদের তালিকা ছাড়া অন্য কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা বা প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুসরণ করে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
দালাল বা প্রতারক চক্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেন না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই সবার চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে থানায় সোপর্দ করা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে আরও ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য হয়ে পড়ে। পরে আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও পরের শূন্য পদ মিলিয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।