এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকরা। বুধবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে এই স্মারকলিপি জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের পক্ষে মুহাম্মদ শাহীন খান, মো. আতিকুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. আব্দুল আজিজ আহম্মেদ, সৈয়দ রুবেল হোসেন এবং মো. জান্নাতুল ফারুক স্বারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর হতে ডিগ্রি (পাস) / স্নাতক পর্যায়ে ন্যূনতম ৩০০ নম্বর ইংরেজি ও গণিত ব্যতীত স্নাতক পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি সার্টিফিকেট কোর্স ৪০০ নম্বর ইংরেজি ও ৩০০ নম্বর গণিত দিয়ে আমাদের এমপিওভুক্ত করছে না।এমপিওভুক্ত হতে না পারায় মানবেতর ও অত্যন্ত কষ্টে জীবন-যাপন করছি।
স্মারকলিপি জমা দেওয়া প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ইংরেজি শিক্ষকদের যোগ্যতা স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নূন্যতম ৩০০ নম্বর নির্ধারণ হয়। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষকরা ডিগ্রি/স্নাতক কোর্স ৪০০ নম্বরের সম্পন্ন করায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গণিতে ৩০০ নম্বর থাকার পরও এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না শিক্ষকরা। যদিও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে স্কুল পর্যায়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা ৪০০ নম্বরের কোর্স করেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
শিক্ষকরা জানান, সুপারিশ পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এমপিও না হওয়ায় তারা বেতন পাচ্ছেন না। ফলে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাদের এমপিওভুক্ত করা হোক।