চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীদের আন্দোলনে চার দফা দাবি মেনে নিয়েছে প্রশাসন। একইসঙ্গে ছাত্রী নিপীড়নে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি চার কার্যদিবসের মধ্যে নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান। এ ঘোষনার পর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থামিয়ে হলে ফিরেছেন ছাত্রীরা।
বুধবার রাতে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত ছাত্রীদের সামনে ছাত্রীদেরই দাবিগুলো পড়ে শোনান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান এবং দাবি সম্বলিত কাগজে স্বাক্ষর করে সেগুলো বাস্তবায়নের ঘোষনা দেন। দাবি বাস্তবায়ন ও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারলে প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগ করবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো:
১. ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা তুলে দিতে হবে। ২. যৌন নিপীড়ন সেল বাতিল করে নতুন করে সেল গঠন করতে হবে। সেলের বিচারের সর্বোচ্চ সময় ১ মাস করতে হবে। ৩. আগামী ৪ কর্মদিবসের মধ্যে চলমান ঘটনাগুলোর বিচার ও সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে। ৪. এসকল সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে চবি ছাত্রীদের আবাসিক হলের সান্ধ্য আইনের বিপক্ষে প্রতিবাদ এবং ক্যাম্পাসের সর্বত্র শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রীরা। বুধবার (২০ জুলাই) রাত ১০টা থেকে ভিসির বাসভবনের সামনে তারা অবস্থান নেন।
বিক্ষোভের সূত্রপাত যেভাবে:
গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে দুর্বৃত্তরা। একইসঙ্গে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। চবি ক্যাম্পাসে বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ ঘটনা ঘটে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ এবং হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ওই ঘটনার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে রাত ১০টার মধ্যে হলে ফিরতে ছাত্রীদের প্রতি নির্দেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার দিনের কর্মসূচিতে এ নিয়ে ক্ষোভ জানান ছাত্রীরা। পরে রাতে ১০টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করে চার দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।