বাংলাদেশ দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন কুমার দাসকে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মুমিনুল হক টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে চান না বলে জানানোর পরই আলোচনায় নতুন টেস্ট অধিনায়ক। যেখানে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল সাকিবের নাম। তাকেই দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই তৃতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
২০১৯ সালে সাকিব নিষেধাজ্ঞায় পড়াতে হুট করেই টেস্ট অধিনায়কত্ব পান মুমিনুল হক। তার নেতৃত্বে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় ছাড়া নেই উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য। বরং এই সময়ে ব্যাট হাতে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরই তার জোর সমালোচনা শুরু। যার অবসান ঘটালেন নিজেই। গত ৩১ মে বিসিবি সভাপতিকে জানিয়ে দেন অধিনায়কত্ব আর করতে চান না। তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েই নতুন অধিনায়কের পথে হাঁটলো দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এর আগে সাকিব দুই দফায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রথমে ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা চোটে পড়ায় প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব পান। ওই মেয়াদে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জেতেন একটিতে। এরপর ২০১৮ সালে মুশফিকুর রহিমের স্থলাভিষিক্ত হন টাইগার অলরাউন্ডার। ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন আরও ৫ টেস্টে। যেখানে দল জয় পায় দুই ম্যাচে। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১ হারের বিপিরীতে ৩ জয় সাকিবের।
তৃতীয় মেয়াদে সাকিব বাংলাদেশ টেস্ট দলকে কতটা সাফল্য এনে দিতে পারেন, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।