শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনাকালে দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থাকে টেকসই করতে হলে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। সেইসাথে শিক্ষাক্রমকে যুগপোযোগী করতে হবে। শনিবার (২১ মে) এশিয়ান সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ এডুকেশন, বাংলাদেশের উদ্যোগে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত একীভূত শিক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ফেইস টু ফেইস ভেন্যুতে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। গেস্ট অফ অনার হিসেবে ছিলেন ইউনেস্কো ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান বিট্রিস কালদুন এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম ও টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে নতুন কারিকুলাম পরিমার্জন করেছে। আমি আশা প্রকাশ করছি, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাবে। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূলধারায় কারিগরী শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা একটি উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হবে।
সমাপনী দিনে এসিআইই’র নিয়মিত আয়োজন ড. নিরাফাত আনাম মেমোরিয়াল ইনক্লুশন (নামি) অ্যাওয়ার্ড পঞ্চমবারের মতো প্রদান করা হয়। প্রতি দুই বছর পরপর এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। একীভূত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখায় এবছর প্রয়াত লিন্ডসে এলান চেয়েন কে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে সম্মেলনের মেম্বার সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. তারিক আহসান সম্মেলনের সহ-আয়োজক, অতিথিবৃন্দ, সেশন চেয়ার, প্যানেলিস্ট, অংশগ্রহণকারী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রসমূহ পলিসি রিফরর্মসহ সামগ্রিকভাবে টেকসই শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।