সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ২০ মে ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন। এ নিয়োগ নিয়ে দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধি অনুসরণ করে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাঁকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন।
উত্তীর্ণ এই প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় পরবর্তীকালে জানানো হবে। প্রথম ধাপে ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২টি জেলার মধ্যে কিছু জেলার সব কটি উপজেলায় পরীক্ষা হয়, আর কিছু জেলার আংশিক উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। সে হিসাবে একটি পদের জন্য প্রতিযোগিতা হচ্ছে ২৯ প্রার্থীর মধ্যে।