২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে এবার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে এই দুই পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি। রবিবার (০৮ মে) এটি প্রকাশ করা হয়।
পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, এবার প্রতিটি পরীক্ষা হবে দুই ঘন্টার। এরমধ্যে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের রচনামূলক এবং ২০ মিনিটের নৈর্ব্যত্তিক। স্বাভাবিক সময়ে ১০০ নম্বরের বিষয়গুলোর পরীক্ষা হতো ৩ ঘণ্টা। কিন্তু এবার করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে কম নম্বরে ও কম সময়ে পরীক্ষা হচ্ছে।
এছাড়া পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে বিষয়ভেদে ৪৫ থেকে ৫৫ নম্বরে হবে এ পরীক্ষা। বিজ্ঞান বিভাগে ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে পরীক্ষার্থীদের প্রতি পত্রে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে রচনামূলকে ৩০ নম্বর ও নৈর্ব্যত্তিকে থাকবে ১৫ নম্বর।
আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতি পত্রে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে ৪০ নম্বর রচনামূলক পরীক্ষা ও ১৫ নম্বরের নৈর্ব্যাত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের।
ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়েগুলোর রচনামূলকের ৪০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত করা হবে। আর ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোর রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত হবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ৫০ নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।
আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, কম নম্বরে পরীক্ষা হলেও তা ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে। এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২২ আগস্ট।