The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

বুধবারই মুক্তি পেতে পারেন সম্রাট

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে চলমান চারটি মামলার তিনটিতে তিনি এরই মধ্যে জামিন পেয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অপর একটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সেই মামলায় বুধবার (১৩ এপ্রিল) জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলায় জামিন পেলে বুধবারই তিনি জামিনে মুক্তি পেতে পারেন।
জানতে চাইলে সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, আমার জানামতে সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। মানি লন্ডারিং, অস্ত্র ও মাদক এই তিনটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। দুদকের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তার বুধবার জামিন শুনানি রয়েছে। এই মামলায় জামিন পেলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাঁধা থাকবে না।

গত ১০ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে থাকা মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এবং অস্ত্র মামলায় দ্বিতীয় অতিরিক্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালত থেকে জামিন পান। পরদিন মাদক মামলায় ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত থেকে জামিন পান তিনি। অপরদিকে বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত মামলায় জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর বিকেলে র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই আ. হালিম।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এদিন দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। বুধবার এই মামলায় জামিন শুনানির পাশাপাশি অভিযোগ গঠন শুনানির দিনও ধার্য রয়েছে।

অপরদিকে ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইম বিভাগের ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.