The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ভর্তি ফি নিয়ে সমালোচনা ইউজিসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে যা বললেন যবিপ্রবি ভিসি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফি থেকে শিক্ষক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে টাকা নেওয়ার সমালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চলতি দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেছেন, ‘এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়’।

একই সঙ্গে ভিসির কাছ থেকে গবেষণা প্রকল্পের প্রস্তাব আসে না বলে আক্ষেপ করেন তিনি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে ভিসিদের সভায় এমন ঘটনা ঘটে।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বক্তব্য দেন অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। ভর্তি পরীক্ষার ফি থেকে শিক্ষক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে টাকা নেওয়ার প্রবণতার সমালোচনা করে এসময় তিনি আরও বলেন, আমার জীবনে আমি মাত্র তিন হাজার টাকা পেয়েছি, তাহলে কি না খেয়ে আছি? আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষণা করেন, প্রকল্প প্রস্তাব দেন, সেখান থেকেও তো প্রচুর টাকা পাবেন। এ সময় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাবদ প্রায় ২০ কোটি টাকা গ্রহণের তদন্ত করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।

ভিসিদের কাছ থেকে গবেষণা প্রকল্পের প্রস্তাব আসে না বলে আক্ষেপ করেন দিল আফরোজা বেগম। তার বক্তব্য চলার সময়ই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন যবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, তার প্রকল্পের প্রস্তাবের টাকা আটকে আছে। ফাইলটি তিন মাস ধরে মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। কারণ তার কাছে কোনো একটা চাকরি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিতে পারেননি। কারণ, ওই প্রার্থী ৫০–এর মধ্যে মাত্র ১০ পেয়েছে। এ বিষয়টি তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে জানাবেন।

অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগমের উদ্দেশে ভিসি বলেন, এভাবে আপনারা অনেক কথা বলেন, কয়টা টাকা দিয়েছেন বলেন? আপনারা, মন্ত্রীরা সব জায়গায় বড় বড় কথা বলে ফেলেন এবং আমাদের শিক্ষকেরা সেটা শুনে ফেলেন, তার ফলে উপাচার্যদের যে অবস্থা হয়, আপনারা এটা কল্পনা করতে পারবেন না।

সভায় প্রাথমিকভাবে এবার দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি গুচ্ছে হবে এই পরীক্ষা। এর মধ্যে নতুন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

তাছাড়া সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিদ্যমান সংকট সমাধানে ভর্তি পরীক্ষার স্কোর এবং শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম থেকে কেন্দ্রীয়ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পরিবর্তনে (মাইগ্রেশন) সময় নির্ধারণ করে দিয়ে ভর্তির কাজ শেষ করা এবং একজন শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন, কেবল ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তির টাকা দেওয়ার (ভর্তি ফি একবারই দেওয়া) সুপারিশ করেছে ইউজিসি।

এছাড়া ইউজিসির পক্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফি যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কম হয়, এমন বিভাগগুলোর আসনসংখ্যা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। আর গুচ্ছের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও ভর্তি পরীক্ষা শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.