২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষার্থী। আর সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলে আসন রয়েছে ১০ হাজার ৭৮৯টি৷ ফলে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেও প্রায় ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবেন না।
ফলে এসব শিক্ষার্থীর এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেয়াই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭২ জন। এদের মধ্যে পাস করেছেন ৭৯ হাজার ৩৩৯ জন।
ওই সূত্র আরও জানায়, দেশের সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। আর বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৯টি। ফলে ভর্তিচ্ছুদের একটি বড় অংশ পরীক্ষায় পাস করেও চিকিৎসক হতে পারছেন না।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৪ হাজার ৩৫০ জনের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যাই বেশি। সরকারিতে চান্স প্রাপ্তদের মধ্যে ২ হাজার ৩৪৫ জন ছাত্রী। আর এক হাজার ৮৮৫ জন ছাত্র।
পাসের দিক দিয়েও এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। শুধু তাই নয় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তিতেও প্রথম হয়েছে এক ছাত্রী। মোট পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৪ হাজার ৫০৪ জন মেয়ে। আর পাসকৃত ছেলের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন।
লিখিত পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন সুমাইয়া মোসলেম মিম। তার প্রাপ্ত স্কোর ৯২ দশমিক ৫। আর ছেলেদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ৯১ দশমিক ৫।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেছে।