করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শ্রেণিকক্ষে পুরোদমে চলছে পাঠদান। তবে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে নানা ধরনের মতামত তৈরি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এ ছুটি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ছুটির বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসন বলছে, করোনাকালের বন্ধে শিখন ঘাটতি মোকাবিলায় রমজান মাসে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বলছেন, গরমে রোজা রেখে ক্লাস নেয়া অমানবিক। এতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে আসতে পারে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হবে ২২ এপ্রিল থেকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
এ অবস্থায় প্রাথমিকের সঙ্গে মিল রেখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে। দু’একদিনের মধ্যে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হতে পারে। সেখানে ছুটির বিষয়টি আলোচনা হবে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘রমজান মাসে ক্লাস চালু রাখলে কষ্ট বাড়বে। শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পন্ন না করে পরীক্ষায় বসানোও কষ্টকর। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাও আছে। তবে ছুটি কিছুটা এগিয়ে আনার চিন্তা চলছে, মন্ত্রণালয়ও একমত হয়েছে। আলোচনা করে ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এর আগে গত শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘রমজান মাসে গরম, সবাই চাইছে ক্লাস বন্ধ রাখা হোক। এখন ক্লাস করা খুবই দরকার। দুই বছর ক্লাস হয়নি শ্রেণিকক্ষে। এখন ক্লাস করতে না পারলে সিলেবাস শেষ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে প্রাথমিকের সঙ্গে মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ২২ এপ্রিল থেকে বন্ধ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’