পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সময় এবং দিনে কটি করে ক্লাস হবে, তা নির্ধারণ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বৃহস্পতিবার মাউশির এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এক পালায় (শিফট) পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পাঠদান হবে। দুই পালায় পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাতি শাখার ক্লাস হবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। দিবা শাখার ক্লাস হবে সাড়ে ১১টা থেকে ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। দুই পালায় চলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন চারটি ক্লাস এবং এক পালার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন পাঁচটি ক্লাস হবে। সময়সূচি ঠিক করবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অবশ্য ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজ খোলা রাখার এ তারিখ আরও কয়েক দিন কমানো হতে পারে। তবে কত দিন কমানো হবে, সেটি এখনো ঠিক হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্কুল-কলেজ খোলা রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। মূলত এ কারণেই খোলার সময় কমানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত হলে খুব শিগগির এটি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাধারণত পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক ছুটির কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি খানিকটা হলেও পুষিয়ে নিতে প্রথমে ২০ রমজান পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত খোলার রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।