সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রায় প্রজাতন্ত্রের কর্মিবাহিনী বিরাট ভূমিকা আছে। আমাদের একসময় বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। সেখান থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে কর্মকর্তাদের অবদান অনেক। যারা ৪০তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে বাছাই হলো এ জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। পূর্বসূরিরা যেটুকু এগিয়ে নিয়েছেন, তারা যেন একটু বেশি ভূমিকা নিতে পারেন। সততার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে তাদের।’
প্রথম পূর্ণ কোটামুক্ত ৪০তম বিসিএসের ফল প্রকাশের পর তিনি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, ‘এসব কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে সবাই তাদের শিক্ষা লাভে ভূমিকা রেখেছেন। পাতলা ডাল খাইয়ে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ টাকা সাধারণ মানুষের পকেট থেকে এসেছে। জনগণের অর্থের মর্যাদা রাখতে হবে।’
কোটামুক্ত বিসিএসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি অনেক বড়। শুধু মেধাবী দিয়েই প্রজাতন্ত্রের উপকার হয় না। যার দেশপ্রেম নেই, যত মেধাবীই সে হোক, কোনো কাজে লাগবে না। মেধার সঙ্গে দেশপ্রেম থাকতে হবে। সবসময়ই শুনে এসেছি কোটামুক্ত বা মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে উপকৃত হবে দেশ। ৪০তম বিসিএসে সে কাজটিই হয়েছে। এসব কর্মকর্তার ওপর স্পটলাইট থাকবে। মেধাভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে জাতিকে তারা কী দিয়েছে, সেটা কেউ না কেউ মূল্যায়ন করবে।’
মোহাম্মদ সাদিক আরও বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কোটার ভূমিকা রয়েছে। ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগে কোটার মাধ্যমে কিছুটা দায় শোধ করা গেছে। কোটা হয় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে। এত বাছাইয়ের পর দুর্বল কোনো প্রার্থী থাকতে পারে না। কাজেই যারা কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন, তারাও মেধাবী।’
৪০তম বিসিএস ঐতিহাসিক বলেও মত দেন তিনি। এ সময় কোটামুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগের ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান।