আর্থিক সমস্যায় পড়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে নিতে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট লোন’ দেবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। ব্যাংক এশিয়ার সহায়তায় এই ঋণ দেওয়া হবে। অনার্স-মাস্টার্সের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি ও বই-খাতা কেনার জন্য এ ঋণ সুবিধা পাবেন। পড়ালেখার সময় বা কর্মজীবনে গিয়ে এ শিক্ষা ঋণ পরিশোধ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম ও ব্যাংক এশিয়ার পক্ষে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল হাসান মোল্লা চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিরেক্টর মোহাম্মদ আশরাফুল আনোয়ার, ডিন, চেয়ারম্যানসহ বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরে তথ্য যাচাই-বাছাই ও শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ব্যাংক তার ঋণের ব্যবস্থা করবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঋণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সেমিস্টারভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী টাকার জন্য আবেদন করবেন। সেই চাহিদা পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যাংক তার টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে পরিশোধ করবে। শিক্ষাজীবন চলাকালীন কিংবা শেষ হওয়ার পর এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া সহজ করতে ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে আরেকটি চুক্তি করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এর আওতায় ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যারের সঙ্গে ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমের সংযোগ থাকবে। ফলে ব্যাংকে টিউশন ফি পরিশোধ করলে রিয়েল টাইম লেনদেনের সুবিধা পাবেন গ্রিনের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা জানান, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সমন্বয়ে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। ব্যাংক এশিয়ার সহায়তায় শিক্ষার্থীদের ঋণ দেওয়ার বিষয়টি সেই কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে।