ব্রাজিল ৪-০ চিলি
(নেইমার, ভিনিসিয়ুস, কুতিনিও, রিচার্লিসন)
ম্যাচটা ব্রাজিলের জন্য নিছক আনুষ্ঠানিকতার উপলক্ষ ছিল। এর মধ্যেই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছেন নেইমাররা, বাছাইপর্বের গ্রুপে ১৫ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আগে থেকেই ছিলেন তাঁরা। ফলে এই ম্যাচটা ব্রাজিল কোচ তিতের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার একটা ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল যেন।
যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাটা মূলত করা হয়েছে নেইমারকে নিয়ে। সাধারণত ৪-৩-৩ বা ৪-২-৩-১ ছকে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বা উইঙ্গারের ভূমিকায় খেলা নেইমারকে আজ পুরোদস্তুর স্ট্রাইকারের ভূমিকায় খেলিয়েছেন তিতে।
আতলেতিকোর স্ট্রাইকার ম্যাতিউস কুনিয়া আর লিভারপুলের রবার্তো ফিরমিনো ছিলেন না চোটের কারণে। ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফ্লামেঙ্গোর গ্যাব্রিয়েল বারবোসা, এভারটনের রিচার্লিসনের ওপরেও আজ শুরু থেকে ভরসা রাখেননি তিতে। ফলে নেইমারের কাঁধেই দায়িত্ব পড়ে স্ট্রাইকে খেলার। আর সে ভূমিকাতেও তিনি কী দুর্দান্তভাবেই না সফল!
ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে চড়লে এমনিতেই ফর্ম ফিরে পান নেইমার, আজকেও তার ব্যতিক্রম হলো না। ম্যাচের প্রথম গোলটাই এল তাঁর পা থেকে। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছেন তিনি।
দুই মিনিট পরেই প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আয়াক্সের উইঙ্গার আন্তোনির পা থেকে বল নিয়ে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে নিজের প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যান রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
৭২ মিনিটে আরও একটা পেনাল্টি পায় ব্রাজিল, কিন্তু এবার নেইমার পেনাল্টি নিতে না এসে সতীর্থ ফিলিপ কুতিনিওকে পেনাল্টির দায়িত্ব দেন। কুতিনিও-ও উপহার পেয়ে গোলের সুযোগ হেলায় হারাননি। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে বিকল্প হিসেবে নামা স্ট্রাইকার রিচার্লিসনের গোলে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। রিচার্লিসনের গোলে সহায়তা করেন নিউক্যাসলের প্রতিভাবান মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেস।
এই পরাজয়ের ফলে চিলির বিশ্বকাপ-স্বপ্ন বলতে গেলে শেষই হয়ে গেল। ১৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে তাঁরা। দিনের আরেক ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে উরুগুয়ে। উরুগুয়ের হয়ে সুয়ারেজ বা কাভানি নন, গোল করেছেন মিডফিল্ডার জর্জিয়ান আরাসকায়েতা। ফলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডরের পাশাপাশি পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকার সুবারে বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে উরুগুয়ে।
লড়াই এখন প্লে-অফে থাকার। বলিভিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের প্লে-অফ আশা এখনও জিইয়ে রেখেছে কলম্বিয়া। দলটার হয়ে গোল করেছেন উইঙ্গার লুইস দিয়াজ, স্ট্রাইকার মিগুয়েল বোর্হা ও মিডফিল্ডার ম্যাতিউস উরিবে। ১৭ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ষষ্ঠ স্থানে কলম্বিয়া।