সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেছেন, পিএসসিতে তদবির হয়। অদ্ভুত ধরনের যুক্তি নিয়ে অনেকে আসেন। অনেকে এসে বলেন চাকরিটা হলে গরিব ছেলেটার বা মেয়েটার উপকার হবে। কিন্তু তারা ভাবেন না, গরিবের উপকার করতে গেলে মেধাবীকে বঞ্চিত করতে হবে। গরিবের উপকার করতে গিয়ে মেধাবীকে বঞ্চিত করতে পারে না পিএসসি। তাই তদবির করবেন না। এখানে তদবির রাখার কোনো সুযোগ নেই। কে কোন বোর্ডে ভাইভা নিতে যাবেন এটা কোনো সদস্যই জানেন না। যেদিন ভাইভা সেদিন সকালে পিএসসিতে এসে তারা জানতে পারেন কোন বোর্ডে তিনি ভাইভা নেবেন।
সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি কোনো সদস্যের কাছে তদবির করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসাইন বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সেটা করতে পারি না। আমি যদি কোনো সদস্যর কাছে তদবির করি তাহলে তিনি আমাকে কী ভাববেন এটা হলে কাজ করা সম্ভব হবে না। তদবির করলে নিজেকে অনেক ছোট মনে হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে পিএসসি’র এত চিন্তা কেন? জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, প্রিলিমিনারিতে কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সারা দেশে তারা ছড়িয়ে থাকেন। তাদের জন্য পরীক্ষার হল ঠিক করা কঠিন এক কর্ম। এ সময় এসএসসি-এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা, সম্ভাব্য নির্বাচনসহ কতকিছু খেয়াল রাখতে হয়। প্রশ্নপত্র তৈরি, মডারেশন, বিকল্প সেট বানানো, ছাপানো, পাঠানো সবই স্পর্শকাতর। পান থেকে চুন খসলেই সর্বনাশ। এত পরীক্ষার্থীর খাতা মূল্যায়ন, পরীক্ষক নির্বাচন, পরীক্ষার হলে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা সবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করতে হয়। পিএসসির প্রত্যেকটা কাজই ষোল আনা চাই। এক আনা কম হলে চলবে না। তাই এত দুশ্চিন্তা।