প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষার জন্য বরাদ্দকে সরকার ব্যয় মনে করে না, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মো. জাকির হোসেন আরও বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশকে সম্পদে ও সুনামে ভরিয়ে দেবে। আর প্রাথমিক শিক্ষা যেহেতু জাতির ভিত নির্মাণ করে, তাই মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট সেবা শিক্ষা সেক্টরে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এর মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পাঠদান বিষয়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠ্যবই ও অন্যান্য বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিক্ষকেরা বিভিন্ন কনটেন্ট ডেভেলপ করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দান করতে পারবেন। ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ব্লেন্ডেড এডুকেশন, ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট ইত্যাদি কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান, দক্ষতা, মননশীলতা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান সরকার গ্রামীণফোনের সহায়তায় বর্তমানে ৪১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যায়ে ইন্টারনেট কানেকশন প্রদান করছে। ক্রমন্বয়ে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিইও ইয়াছির আজমান, সিবিও মো. নাসার ইউসুফ, অধিদপ্তরের পরিচালক বদিয়ার রহমান প্রমুখ।