শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানদণ্ড ঠিক থাকলে এমপিওভুক্ত করা হবে। আগের জাতীয়করণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়লে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সবটুকু সক্ষমতা নিয়োগ করবে সরকার।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর বাংলা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাশিপ সভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলম।
এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তিতে সরকারের সক্ষমতার ব্যাপার আছে। কিন্তু যদি যোগ্য শিক্ষক না হন, তাহলে এমিপওভুক্তি সঠিক হবে না। শিক্ষক মানসম্পন্ন কি না, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, পাসের হার কত, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত—এসবের একটি মানদণ্ড থাকতে হবে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নিজেদের মানদণ্ড ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাশিপের আট দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয়করণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার মান অর্জন করতে চাই। অতীতের অভিজ্ঞতা হলো, আমরা যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছি, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান কি আরও বেড়েছে, নাকি কমেছে, এটা আগে বুঝতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে, সেখানে শিক্ষার মান যদি বাড়ে, তাহলে সব কটিই জাতীয়করণ করা হবে। যদি মান না বাড়ে, তাহলে জাতীয়করণ করা হবে না।’
শিক্ষকদের উদ্দেশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা নিজেদের দক্ষ করে তোলেন। আশা করব, আপনারা সবাই প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হবেন। যেখানে সুযোগ পাবেন, সবাই প্রশিক্ষণ নিয়ে নেবেন। এখন অনলাইন, অফলাইন—দুভাবেই প্রশিক্ষণ হচ্ছে। অনলাইনে নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দক্ষ, প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন। চলমান মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হয়ে গেলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হবে। তবে শিক্ষা জাতীয়করণে সফলতা এলেই হবে না, সে জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে শিক্ষকদের।