উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে পুলিশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুলিশের বিভিন্ন পদের নিয়োগ পরীক্ষার আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র) পদে নিয়োগে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছে কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা।
ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩ হাজার ৪৩৬ প্রার্থীর কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষার গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে (বিসিসি) এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও সুসংহত এবং অপরাধ দমনে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম ও দক্ষ প্রার্থী নিয়োগের লক্ষ্যে কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন ৪৮০ জন প্রার্থীর পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ৫ থেকে ৮ ও ১৩ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই পরবর্তী সময়ে বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর পর এবারই প্রথম পুলিশের কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কারণে বিশ্বায়নের যুগে তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি অপরাধসংশ্লিষ্ট তদন্তকার্যে অধিকতর সক্ষম ও কারিগরিভাবে দক্ষ ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে প্রার্থী নিয়োগ করা সম্ভব হবে, যার সুফল দেশ ও দেশের জনগণ ভোগ করবে।
পুলিশের ওয়েবসাইটে আরেক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষার মধ্যে এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ওয়েব ব্রাউজিং ও ট্রাবলশুটিং বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য গত ডিসেম্বরে প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি।