উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে বিদেশে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে চাকরিতে না ফেরার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৩ জন শিক্ষকের পদ শূন্য ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী এসব পদে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির (সিন্ডিকেট) সভায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, ‘১৩ জন শিক্ষকের কাছে ঢাবি’র আর্থিক পাওনা রয়েছে, যার পরিমাণ সর্বনিম্ন ৯ লাখ এবং সর্বোচ্চ ৫৩ লাখ টাকা। পাওনা আদায়ের চেষ্টা করায় এতদিন তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায়নি।’
তবে শূন্য পদ ঘোষিত ১৩ জন শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেনি ঢাবি কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির উল্লেখ করেন, ‘পাওনা আদায়ের জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করবো আমরা। আপাতত সিন্ডিকেটে অভিযুক্ত ১৩ জন শিক্ষকের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’
জানা যায়, ২০১৫ সালে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে বিদেশে গিয়েছিলেন ঢাবি’র ওই ১৩ শিক্ষক। তবে যথাযথ সময়ে তারা চাকরিতে যোগ দেননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, পাওনা টাকা পরিশোধ করলে ১৩ জন শিক্ষকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে দাফতরিকভাবে তাদের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।