নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান শুরুর প্রথম দিন মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের প্রতি আমার অনুরোধ নিষ্ঠার ও দায়িত্বের সঙ্গে কারিকুলাম বাস্তবায়ন করবেন ‘
শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রাখবো— যেকোনও কারিকুলাম সর্বোচ্চ মানের হতে পারে, সর্বাধুনিক হতে পারে। কিন্তু যেসব শিখন ফল থাকবে তা অর্জনে যারা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করবেন, সেই শিক্ষকরা হচ্ছেন সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মনোযোগ চাই, দক্ষতা ও মান অর্জনে সর্বোচ্চ কাজ করতে হবে আপনাদের। ’
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘যে পাইলটিং হচ্ছে তাতে শিক্ষকরাই জানবেন— কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এক নয়, সকল শিক্ষার্থীরও সমক্ষমতা এক নয়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে শিখন ফল অর্জন ও পাঠ্যবইয়ে নির্ধারিত যে কার্যক্রমগুলো রয়েছে; বাস্তবে কোন কোন প্রেক্ষাপটে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য করতে পারছেন সেগুলো অবশ্যই বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রকারীদের কাছে জানাবেন। আপনাদের ইনপুটের উপর নির্ভর করতে আমাদের সফলতা। ’
উপমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর কম সময়ের মধ্যে করতে হচ্ছে। সে কারণে ভুল হতে পারে। আমরা কোভিডের সময় অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়েছি। তাই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যার যতটুকু সামর্থ আছে উপকরণ আছে তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবেন। মনে রাখতে হবে, কারিকুলাম পরিবর্তন হলে শিক্ষকদের রোল পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষকদের পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা নানাধরনের সফট স্কিল আমরা দেখতে চাই। বিশেষ করে স্মরণশক্তির মূল্যায়নের চেয়ে আমরার দক্ষতার মূল্যায়নে বিশেষভাবে জোর দিতে চাচ্ছি। সে কারণে আপনাদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সারা পৃথিবীতে যে পরিবর্তন এসেছে। শুধুমাত্র স্মরণ শক্তিনির্ভর ব্যবস্থায় দক্ষতা আনতে পারবো না। ’
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের শুধু ১০ বছর সময় আছে এসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু বের করে আনার। তাদের কাছ থেকে যদি উন্নতি ও সমৃদ্ধির ষিয়টি বের করতে না পারি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর টার্গেটে না পৌছাতে পারি, তাহলে আমাদের সামনে বিপদ অসবে। যেহেতু স্বল্প সময়ের মধ্যে যেহেতু শিক্ষার্থীদের দক্ষ করতে হবে। তাই কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতিটি বিষয় আপনাদের শুনতে হবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডর (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মশিজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক এবং সংশ্লষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।