দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে বেসরকারি ডিপ্লোম-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। হাতেগোনা কিছু ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থাকলেও অনেকে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানকে এ, বি, সি ও ডি ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করতে তাদের তালিকা সংগ্রহ করছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
বোর্ড থেকে জানা গেছে, সারাদেশে ৫ শতাধিক বেসরকারি ডিপ্লোমা ও ৫৪টি সরকারি ডিপ্লোমা কলেজ রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার কী অবস্থা তা নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত বেসরকারি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৬টি প্যারামিটারের (সূচকে) ভিত্তিতে এ, বি, সি ও ডি ক্যাটাগারিতে বিন্যস্ত করার লক্ষ্যে সব প্রতিষ্ঠান থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনলাইনে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এসব তথ্য ছক আকারে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অফিস সময়ে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে ফরম পুরণ ও প্রমাণসহ প্রিন্ট কপি না পাঠালে সেসব প্রতিষ্ঠানকে ডি ক্যাটাগরিভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মাহমুদ জামান রোববার বলেন, বেসরকারি অনেক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেকের অবকাঠামো নেই, ল্যাব নেই, শিক্ষার্থী কম, নিয়মিত ক্লাস হয় না, ভালো মানের শিক্ষক ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। এ কারণে কার কী অবস্থা সেটি চিহ্নিত করতে আমরা সবাইকে নিজ নিজ তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছি। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি কারিগরি ডিপ্লোমা কলেজগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্ণয় করলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকবে। সেটি দেখে অন্যরা ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করার চেষ্টা করবে।