বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) নিয়মিত মহাপরিচালক না থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক অবসরে যান। নতুন ডিজি নিয়োগ না হওয়ায় তার স্থানে রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন মাউশি পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) প্রফেসর শাহেদুল খবীর চৌধুরী। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বা আর্থিক সংশ্লিষ্ট ফাইল অনুমোদনের ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়নি। এর ফলে এই সংকট দেখা দিয়েছে।
সংকট নিরসনে মাউশির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি তারা। ফলে এমপিওভুক্ত ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জানুয়ারি মাসের বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ছাড়ের জন্য প্রতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে একটি সভা ডাকা হয়। এরপর প্রতি মাসের ১ বা ২ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন-ভাতার চেক ব্যাংকে পাঠানো হয়। তবে এবার এখনো এই সভা করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবীর চৌধুরী জানান, আমি রুটিন দায়িত্ব পালন করলেও বাজেট কিংবা অর্থ ছাড়ের বিষয়টি সমাধানের ক্ষমতা আমাকে দেয়া হয়নি। ফলে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর চেক কবে ছাড় হবে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা ভালো বলতে পারবে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (বাজেট) মো. ফজলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি বক্তব্য দিতে পারবো না। আপনি সচিব স্যারের সাথে যোগাযোগ করুন।
পরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দীককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।