The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

জাবিতে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পরীক্ষা চায় ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনের সড়কে ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে হবে। পরবর্তী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ছাড়া একই ব্যাচের বিগত পরীক্ষাগুলোর রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশ ও করোনার বন্ধে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নুর হোসেন বলেন, পাঁচ বছরেও অনার্স শেষ করতে পারিনি। এখনও তৃতীয় বর্ষের রেজাল্ট পাইনি। এমনকি একই বর্ষে একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থী ক্লাস করছি। আমাদের সেশনের বন্ধুরা শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি করছে। এই হতাশার শেষ কোথায়! আমরা চাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমাদের পরীক্ষা শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় বসতে।

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহামারির কারণে বারবার তাদের পরীক্ষা দেরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঠিক মতো ক্লাস-পরীক্ষা নেন না। ফলে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। এ ছাড়াও স্থগিত পরীক্ষাগুলো দ্রুত নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। এ সময় কয়েকজন সহকারী প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে রহিমা কানিজ বলেন, তাদের দাবিগুলো পেয়েছি। স্মারকলিপি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার ফলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীরে বন্ধ রয়েছে সব একাডেমিক কার্যক্রম। এতে বিপাকে পড়েছেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.