The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে কবি-আবৃত্তিকারদের ভূমিকা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে কবি ও আবৃত্তিকারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কথা বলার চেয়ে, একটা কবিতা, একটা নাটক, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়। কবিতার শক্তি অনেক।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান অনুষ্ঠান। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পদক পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন। অনুষ্ঠানে সশরীরে যেতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমার যাতায়াত সীমিত। তাছাড়া একটু পরেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, আবৃত্তি উৎসব আয়োজন করায় আমি অনেক আনন্দিত। আমি নিজেও এমন উৎসবে বহুবার গিয়েছি। পেছনের সারিতে বসেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, সেই সংগ্রামের পুরোধা ছিলেন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্র। তিনি এর প্রতিবাদ শুরু করেন। ছাত্রলীগ নামে সংগঠন গড়ে তোলেন এবং তখনকার অন্যান্য ছাত্র সংগঠনসহ সবাইকে নিয়ে তিনি ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলেন। আন্দোলনের ডাক দেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম ধর্মঘট। সেই ধর্মঘটে শেখ মুজিব তখনকার ছাত্র নেতাসহ অনেকে গ্রেপ্তার হন। সেই থেকে আমাদের সংগ্রাম শুরু।

শেখ হাসিনা বলেন, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার যা কিছু দিয়ে গেছেন সেটা আমাদের সম্পদ। নীল দর্পন নাটকের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিল বা একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি। ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছে না, তখন কবিতার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে। মানুষ সেখানে উদ্বুদ্ধ হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশের আন্দোলনের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি অবদান রয়েছে কবিদের এবং আবৃত্তিকারদের।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.