১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ২৮ শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। এসময় তার সঙ্গে স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকও উপস্থিত ছিলেন। ভিসি অধ্যাপক ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে মোট ২৮ শিক্ষার্থী অনশন করছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২০ অনশনকারী।
সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল ভর্তি ২০ শিক্ষার্থীকে অনশনস্থল ভিসির বাসার সামনে আনা হয়। সেখানেই অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ভোর ৪টায় ক্যাম্পাসে এসে ড. জাফর ইকবাল বলেন, আমি এখানে আসতে চাইছিলাম না। কারণ তোমরা আমরা কথা না শুনলে! আমি যেহেতু এসেছি তোমাদের অনশন ভাঙায়ে তারপর এখান থেকে যাব। আমি চাই তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও। তবে আন্দোলন আর অনশন ভিন্ন জিনিস। তোমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন চালিয়ে যাও।
ড. ইয়াছমিন হক বলেন, আমার মনে হয় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে নামসর্বস্ব। প্রতিটি ঘণ্টা তোমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা চাই তোমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন চালিয়ে যাও। তবে তোমাদের বেঁচে থাকতে হবে।
১৩ জানুয়ারি রাত থেকে প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি আদায়ে সময় চাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের অ্যাকশনের পর সেই আন্দোলন ভিসির পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। দাবি আদায়ে অনশন শুরু করেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। একজনের বাবা অসুস্থ হওয়ায় তিনি অনশন ভেঙে বাড়ি যান। পরে আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অনশনকারীদের সাথে যোগ দেন। এদিকে দফায় দফায় আলোচনা করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরাতে পারেনি সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির বারবার আশ্বাসেও মন গলেনি শিক্ষার্থীদের।